নিজস্ব প্রতিনিধি
সারা আনোয়ারা
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পরীক্ষিত ভাবে শুরু হয়েছে লবণ চাষ।এই উপজেলায় অন্য মৌসুমে লবণের চাষ না হলেও বর্ষা মৌসুমের মাছের ঘেরায় চাষ হচ্ছে লবণের।
বিগত কয়েকবছর যাবৎ পরীক্ষিত ভাবে লবণ চাষ করা হলেও আনোয়ারায় এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান চাষ উদ্যোক্তাদের।সাগরের আশেপাশে নানান পর্যটন কমপ্লেক্সে, বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে সেখানকার উপকূলীয় খালি জায়গাগুলো।
উপজেলার পারকি এলাকা ঘুরে দেখা যায় এবার এখানে ১০ একর জায়গায় লবণের চাষ করেছেন ২নং বারশত ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক। ফারুকের এই লবণের মাঠে কাজ করছেন মহেশখালী উপজেলার রিদুওয়ান এবং আরমান নামের দুই লবণ শ্রমিক। তারা লবণের মাঠ থেকে তেরপালগুলো কুড়িয়ে লবন সংগ্রহ করছেন। একটি তেরপাল ভাজ করে লবণ তুলতে সময় লাগতেছে প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিট।
লবণ চাষের বিষয়ে ফারুক বলেন, ২০১৪-১৫ সাল থেকে জায়গাটা সরকারের কাছ থেকে আমি লিজ নিয়ে লবণ চাষ করে আসতেছি। তবে গত কয়েকবছর লবণ চাষ বন্ধ ছিলো৷ এবছর আবারও লবণ চাষ শুরু করলাম। তবে আশেপাশে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ হয়ে যাওয়াতে জায়গাটা অনেক সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তবুও এবার প্রায় ১০ একর জমিতে লবনের চাষ করেছি। প্রতিদিন মহেশখালী,চকরিয়ার ৮-১০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছে। শ্রমিকদের মজুরিসহ সবমিলিয়ে ৬ লক্ষ টাকা মতো খরচ হবে।এবার লবণের যে দাম আশা করি খরচ পুষিয়ে লাভবান হবো।
এই লবণগুলো পটিয়া ইন্দ্রফুলসহ বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।লবণের চাষে আগে মাঠ শুকিয়ে, জমি ভাগ করে, খোয়া এবং বেট বানিয়ে সব কাজ শেষ করার পর ৩দিনের মধ্যে প্রতি বেট থেকে লবণ উত্তোলন করা যায়। প্রতি কানিতে ২৫০-৩০০ মণ লবণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আনোয়ারায় লবণের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জাফর ইকবাল জানান,আনোয়ারায় দিনদিন শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে।ওখানে আগে থেকেও কেইপিজেড, কাফকো, সিইউএফএল এর মত শিল্প কারখানা ছিলো বর্তমানে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে।চায়না ইকোনমিক জোনের নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে। সুতরাং এমন বাণিজ্যিক শিল্প কারখানা সম্ভাবনাময় উপজেলায় লবণশিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নেই।