নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১৫ জুন কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন-সহ দেশের ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), ছয়টি পৌরসভা ও একটি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানিয়েছেন সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এসব নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ রেখেছেন ১৭ মে, বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে ও ভোটগ্রহণ ১৫ জুন।
সেই ঘোষণা অনুসারে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ঈদের আমেজে-ই দোয়া ও সমর্থন আদায়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এ সুবাদে প্রার্থীগণ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও খোঁজখবর নিয়ে সংযোগ বাড়িয়েছেন।
এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মোবাইলেও তাঁরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা হলেও তেমন বিরাজ করছে না নির্বাচনী আমেজ। হয়তো ঈদের আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়েছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আগেই সম্পন্ন হয়েছে নির্বাচন।
সম্প্রতি চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়, চায়ের দোকান, মুদি দোকান, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে আলোচনা আর সমালোচনা। এসব আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম। মানুষের মুখে মুখে শোভা পাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের আট হেভিওয়েট প্রার্থীর গুণগান ও নানা বিশেষণও।
এরা হলেন-বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নুর আহমদ, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক, কর্ণফুলী উপজেলা সে¦চ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহেদুর রহমান শাহেদ, চট্টগ্রাম মহানগর শাখা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম তারা, চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমদ রাজা। অপরদিকে, বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও স্বতন্ত্র থেকে এবারও আলোচনায় রয়েছে আলহাজ¦ এম মঈন উদ্দীনের নাম।
কিন্তু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কে হবেন নৌকার মাঝি। সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে হাজার হাজার সাধারণ ভোটার। কেননা, মানুষের মাঝে ধারণা জন্মেছে সরকার দলীয় নৌকা প্রতীক পেলেই পঞ্চাশ শতাংশ বিজয়ী। তাছাড়া আলোচনা হচ্ছেÑ সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কার জনপ্রিয়তা কত বেশি? কাকে মনোনয়ন দিলে ভালো হবে? কার মনোনয়নে জয়ের সম্ভাবনা বেশি? এসব বিষয়ে চরপাথরঘাটায় চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
তবে, দলীয় মনোনয়ন পেতে ৮ জনই তাকিয়ে আছেন জেলা নেতা এবং চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আলহাজ¦ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এর দিকে। এজন্য সকলেই নিজের অবস্থান তুলে ধরে নেতাদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র সহ- সভাপতি বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টিতে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি বাকি রয়েছে শুধূ নয়াহাট সেতু। কিন্তু চরপাথরঘাটায় দলীয় চেয়ারম্যান রয়েছে সেটা বলা কঠিন। তাই চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মাটি ও মানুষের সঙ্গে যার মেলবন্ধন রয়েছে। দলের দুঃসময়ে যিনি জেল, জুলুম, কারা নির্যাতন ও আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। এমন কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আমরা খুশি হবো।’