মাসুদুল আলম ইরফান – বর্তমান প্রেক্ষাপটে অালোচিত এবং উদ্বেগজনক ঘটনা হলো কিশোর অপরাধ। সময়ের পরিক্রমায় বেড়েই চলছে কিশোর অপরাধ। কিশোর অপরাধ যেন লাগামহীন ঘোড়ার দৌঁড়। যার প্রভাব পড়েছে কিশোরদের মানসিক বিকাশ, ভবিষ্যৎ ও সমাজের উপর। তাই সমাজবিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানীরা বলছে বিষয়টা অামাদের বেশ ভাবিয়ে তুলছে।
কারণ : কিশোর অপরাধের নেপথ্য কারণ হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে মাদক, স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট ও প্রযিক্তির অপব্যাবহার।
অপরাধ চিত্র: ডিএমপির সূত্রে জানা যায় গত দেঢ বছরে কিশোরদের হাতে হয়েছে ১৩ টি খুন যার সাথে জড়িত ১২০ কিশোর। তাছাড়া জখম অার বিশৃঙ্খলা যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
রাজধানী সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে
অাইনশৃঙ্খলা বাহিনী অাটক করেছেন চার শতাধিক কিশোর। বর্তমানে ডিএমপি অাটক করছে দুই শতাধিক কিশোর এবং র্যার অাটক করেছে ১৫৪ জন কিশোর। তাদের সবাইকে কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এরা সবাই বিভিন্ন গ্যাং এর সাথে জড়িত।
ডিজে বয়েস, সিক্সটি নাইন, ডিস্কো বয়েজ সহ অারো অনেক কিশোর গ্যাং রয়েছে।
অপরাধ প্ররবণতা বৃদ্ধির কারণ: মনোবিজ্ঞানী দের মতে অতিরিক্ত মাদক অাসক্তি। নিজেকে অাল্ট্রা মর্ডাণ হিসেবে উপস্থাপন করা এবং মাদকের সহজলভ্যতা মাদক অাসক্তির অন্যতম কারণ। তাছাড়া পাবজির মতো অ্যাকশনধর্মী গেইমস ও সিনেমার নায়ক খলনায়কের চরিত্রে অার্কষিত হয়ে এই ধরণে অপরাধে কিশোররা সহজে জড়িয়ে পরছে। গ্যাং লিডার ও অাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৭৫ ভাগ অপরাধ সংঘটিত হচ্চে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে সামাজিক অবক্ষয়, পারিবারিক কঠোর শাসন ও সন্তানের যথাযথ পর্যবেক্ষণের অভাবে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ক্ষুণ হচ্চে এবং সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে।
তাই কিশোরদের কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্চে। পরিবারের দিক থেকে বন্ধুত্বমুলক মেলামেশা ও তাদের স্বাধীনতার সাথে মানসিক বিকাশের সুযোগ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা।