বিশেষ প্রতিবেদন ।। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর চাঞ্চল্যকর পতেঙ্গায় লাশ পাওয়া তাসফিয়া (১৬) হত্যাকান্ড ক্রমশ রহস্যজনক হয়ে উঠছে। পুলিশ মেয়েটির প্রেমিক আদনান মির্জাকে আটক করলে আসল খুনী কে তা এখনো বের করতে সক্ষম হয় নি।
তাসফিয়ার পরিবার গণমাধ্যমে বলেন, মঙ্গলবার (০১ মে) বিকেলে নামাজ পড়তে যান তাসফিয়ার বাবা। বাসায় তার মা ব্যস্ত ছিলেন ঘরের কাজে। এ সময় তাসফিয়া মোবাইলে ব্যস্ত ছিল। পরে সে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
নামাজ পড়ে এসে তার বাবা বাসায় তাসফিয়াকে না দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাসাফিয়াকে না পেয়ে তার বন্ধুদের কাছ থেকে আদনানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর তাকে কল করেন।
সন্ধ্যায় আদনানকে তাসফিয়ার পরিবারের লোকজন আটক করে। এ সময় তাসফিয়ার বাবা-চাচারা আদনানকে চাপ দেয় তাসফিয়া কোথায় তা জানাতে। না হয় আদনানের বাবাকে ডেকে বিচার দেয়া হবে বলেও হুশিয়ার করা হয়। এ সময় আদনান তার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের জানায় তাকে আটকে রাখার বিষয়টি। তাকে ছাড়িয়ে নিতে ফিরোজ ও আকরাম নামে চিহ্নিত দুই সন্ত্রাসীও প্রভাববিস্তার করে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। তাসফিয়াকে তাসফিয়াকে আধাঘণ্টার মধ্যেই ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে সে (আদনান) কৌশলে সটকে পড়ে।
বাবা গণমাধ্যমে বলেন, প্রেমের লোভ দেখিয়ে এবং প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায়, আদনান তাসফিয়াকে খুন করেছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় মঙ্গলবার (০১ মে) তারা দেখা করার জন্য নগরের গোলপাহাড় মোড়ের চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যায়। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আদনান প্রথমে তাসফিয়াকে এবং পরে নিজে পৃথক আরেকটি সিএনজিতে করে চলে যেতে।
রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার রাজিব দে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে তাসফিয়া ও আদনান এসেছিল। তারা চলে যাওয়ার পর রাত ৯টার দিকে এক ভদ্রলোক আসে আদনানকে নিয়ে। পরে জানতে পারি তিনি তাসফিয়ার বাবা।
হত্যার রহস্য –
– বুধবার তাসফিয়ার লাশের সাথে যে পোশাক ছিল, সেটির সাথে রেস্টুরেন্টে আসা পোশাকের মিল নেই।
– সন্ধ্যায় আদনানকে তাসফিয়ার পরিবারের লোকজন আটক করে এবং তাকে আবার ছেড়ে ও দেয়।
– রেস্টুরেন্টে তাসফিয়ার চলাফেরায় মনে হচ্ছে না তাকে জোর করে আনা হয়েছে।
তাহলে আসল খুনী কে ???
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, এ ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তের আগে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
খুনী যেই হোক আমরা সকলে আশা করছি শীঘ্রই আসল খুনীকে বের করা হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।