চট্টগ্রামে ভোটের সংঘাতে – ভোটের দিন ৩ জন এবং আগের দিন ২ জন , মোট ৫ জন নিহত

 

ডেস্ক রিপোর্ট
সারা আনোয়ারা

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে ভোটের দিন ৩ জন এবং আগের দিন ১ জন , মোট ৪ জন নিহত হয় ।

ভোট শুরুর আগে শনিবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিএনপিকর্মীদের হামলায় এক যুবলীগ কর্মীর নিহত হয়। নিহত দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ি (৩৫) কুসুমপুরা ইউনিয়নের গুরনখাইন এলাকায়।

পটিয়া থানার ওসি নিয়ামত উল্লাহ সারা আনোয়ারাকে বলেন, “গুরনখাইন এলাকায় রাত ১০ টার দিকে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে যুবলীগকর্মী দ্বীন মোহাম্মদকে হত্যা করে। ইটের আঘাতে তাকে হত্যা করা হয়।”
চট্টগ্রাম- ১২ (পটিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যবসায়ী এনামুল হক এনাম। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।

ভোটের আগের রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলী এলাকায় একটি কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাঁধলে জাতীয় পার্টির এক কর্মী গুলিতে নিহত হন। নিহত আহমদ কবিরের (৪৫) বাড়ি ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। রাতে সংঘর্ষের পর বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নির্বিঘ্নেই ভোট হয়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল সারা আনোয়ারাকে বলেন, “ওই এলাকাটি জামায়াত অধ্যুষিত। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে তারা বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের জন্য গেলে জাতীয় পার্টির সমর্থকরা বাধা দেয়। এসময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।”
লাঙ্গল নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে, বিএনপির জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং জামায়াত নেতা জহিরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপেল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

অন্য ঘটনাটি ঘটে পটিয়ায়, সকাল সোয়া ১০টার দিকে পশ্চিম মালিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায়।
পুলিশ বলছে, ওই কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাদলে আবু সাদেক নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি ইসলামী ছাত্র সেনার সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার হাবিবুল হাসান সারা আনোয়ারাকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিও ছোড়া হয়। তবে কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়নি।

কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে এক যুবলীগকর্মী নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও আটজন।
পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে’ পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের টইটংয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৩) উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের উলুদিয়া পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।
কক্সবাজার-১ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী জাফর আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হাসিনা আহমেদ।

রাঙামাটির কাউখালি উপজেলায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন; এছাড়া আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহত মো. বাছির উদ্দিন ঘাগড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, “ঘাগড়া ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়া এলাকায় রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি ও যু্বলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় গোলাগুলিতে বাছিরসহ ১১ জন আহত হয়।”
রাঙ্গামাটি আসনে দীপঙ্কর তালুকদার আওয়ামী লীগ এবং এবং মনি স্বপন দেওয়ান বিএনপির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Related posts

Leave a Comment