প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মাননা পেয়েছে আনোয়ারার উম্মে কুমকুম হাবিবা

মো আরিফ উদ্দিন || গতকাল রবিবার ২৯-০৭-২০১৮ বিকাল ৫টায় গনভবনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেছে দুধকুমড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী উম্মে হাবীবা কুমকুম।

শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক পুরস্কার বা সম্মাননা!তা অর্জন করতে হয় কঠোর পরিশ্রম বা সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে!যদি পুরস্কারটি প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে আপনার হাতে তুলে দেয়,কেমন অনুভূতি হবে আপনার? একবারও কি ভেবে দেখেছেন?

আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া(পারকি) গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিম ও মনোয়ােরা বেগমের ২য় কন্যা হাবিবা। নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেও তার প্রতিভাকে প্রকাশ করেছে সবার সামনে,এনে দিয়েছেন স্কুলের জন্য সম্মাননা, উজ্জ্বল করেছে আনোয়ারা ও পরিবারের মুখ।

উম্মে কুমকুম হাবিবা বাংলাদেশ স্কাউট শাখার শাপলা কাব দলের হয়ে সর্বোচ্চ প্রতিভা,দক্ষতা নিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম স্থান অর্জন করে।
দুধকুমড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০১৬ সালে শাপলা কাবের হয়ে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করে হাবিবা।তার সুদক্ষ প্রতিভার কারনে সে থানা,উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে।
বাবা আব্দুৃর রহিম একজন পোষ্টমাস্টার ও মা মনোয়ারা বেগম ব্রাকের  পুষ্টিকর্মী।সামান্য আয় দিয়ে তিন কন্যা সহ পরিবারের ৬জন সদস্য নিয়ে কোনো রকম দিন কাটায় আব্দুর রহিম!

বর্তমানে তাদের বড় মেয়ে বটতলী শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে ২য় বর্ষের ছাত্রী,মেঝ মেয়ে হাবিবা বর্তমানে ভক্তিয়া পাড়া চারপীর আউলিয়া (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনির ছাত্রী।মেধাতালিকায় তার অবস্থান ২য়।

পড়াশুনায়ও অত্যন্ত মেধাবী কুমকুম! শাপলা কাবের হয়ে  প্রতিযোগীতায় সময় দিতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়  জি.পি.এ.৪.৭৫ পেয়ে উর্ত্তীর্ণ হয়। তার অনুভুতি জানতে চাইলে বলেন,”আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানায়।
 আমাকে এতোদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে ভুমিকা রয়েছে আমার পরিবারের।তারা সবসময় আমাকে সাহস যুগিয়েছে।আমার প্রাথমিক বিদ্যালয় এর  স্কাউট শিক্ষক মিসেস খাদিজাকে স্মরন করছি!উনার জন্য আজকে আমি এতো ভালো পারফরমেন্স করতে পেরেছি।
তাছাড়া,আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান জনাব এম এ কাইয়ূম শাহের অবদান আমার পরিবার কখনো ভুলতে পারবে না!হয়তো উনি না হলে,মাঝপদে আমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতাম!উনার কাছ থেকে সমসময় সহযোগীতা পেয়েছে আমার ম্যাম,আব্বু-আম্মু।
পড়াশুনার খরচবাবদ আমার আব্বু আম্মু আমাকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করে,কখনো কিছুর অভাব বুঝতে দেয় নি!যদিও উনাদের অনেক কষ্ট পোহাতে দেখা যায়।জীবনের লক্ষ্য জানতে চাইলে কুমকুম বলেন,”যদি পড়াশুনা করতে গিয়ে  আর্থিক অসচ্ছলতার  সম্মুখীন হতে না হয়,আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই,সমাজ তথা পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করতে চাই,গরীবের পাশে দাড়াতে চাই।
এটায় আমার শাপলা কাবের মূল শিক্ষা,আত্নরক্ষার পাশাপাশি অন্যকে সাহায্য করা।

Related posts

Leave a Comment