মহিউদ্দীন মনজুর
সারা আনোয়ারা
২০-০৮-১৯ ইং সোমবার
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার শেষপ্রান্ত ৩নং রায়পুর উপকূলীয় এলাকা।এই ইউনিয়নের প্রায় এলাকা বিশেষ করে দক্ষিণ গহিরা এলাকাতে এক সময় বর্ষার ভারিবর্ষণ ও বন্যার কারণে এসব জায়গাতে প্লাবিত হত,কিন্তু অত্র এলাকার আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২৮০ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের বাজেট হয়।
তখন থেকে কাজ শুরু হলেও কিন্তু আজ প্রায় ২/৩ বছর কাজ করে এখনো কাজের পরিপূর্ণতা করতে অক্ষম হয় নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
কাজ চলাকালীন বেড়িবাঁধের কাজে এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি কথা তুলেছিল কিন্তু তাতে কোন সুরাহা হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যাই, ৮নং ওয়ার্ডের বাইগ্যারো ঘাটা ও বার আউলিয়ার টেক থেকে শুরু করে গহিরা প্যারাবন পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে ডোবানো,আগে বেড়িবাঁধে কিছু মাটি বালি যেগুলো দিয়েছিল সবগুলো জোয়ারে ভেসে গিয়ে ঘর আর সাগর এক হয়ে বসবাস করতেছে এলাকার মানুষগুলো।
ক্ষোভের কণ্ঠে মোঃ মনু নামের একজন বলেন বেড়িবাঁধ নির্মাণের যে বাজেট হয়েছে তা একত্রে কাজ করলে আমাদের এই দুর্ভোগ ও ভাঙ্গন দেখা দিতনা,কিন্তু কাজের অবহেলা ও ঠিকাদারির গাফিলতির কারণে আজ আমরা সমুদ্রের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছি।বার আউলিয়া এলাকায় আগে যেটা বড় বাজার,মার্কেট, ও মসজিদ,ফোরকানিয়া মাদরাসা যা ছিল সবকিছু জোয়ারের পানিতে শেষ হয়ে তারা এখন অসহায়ভাবে বসবাস করে আসতেছে।
অত্র এলাকার লোকদের যাতায়াতের জন্য নেই কোন রাস্তাঘাট এবং এলাকার ছাত্র/ছাত্রীদের বহু কষ্টে লেখাপড়া করতে আসতে হয় অনেক দূরে।
৩নং রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন,বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে বাজেট গুলো হয়েছে তা দিয়ে এতদিনে কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার কথা হলেও কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি ও অবহেলাতে কাজ করা বেড়িবাঁধগুলো এখন আবার নতুনভাবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
কাজের গাফিলতির কারণে আজ বাইগ্যারো ঘাট,বার আউলিয়া সহ বহু এলাকায় নতুন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,৪ মাসে এখনো কোন পর্যন্ত আর কোন ঠিকাদার কাজ করতে আসতে দেখিনি।