মোহছেন আউলিয়া সড়কে গর্ত হয়ে হাটুপানি দুর্ভোগে পথচারী ও যান চলাচল

রিপোর্ট : মহিউদ্দীন মনজুর
সারা আনোয়ারা

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মোহছেন আউলিয়া সড়কে সামান্য বৃষ্টি পড়লে হাটু পানিতে পরিনত হওয়ায় যান চলাচল এবং পথচারীদের হাঁটতে ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এতে করে ব্যাটারি চালিত রিক্সা এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক সিএনজি এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বাস ট্রাক ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুঘর্টনা।বছর ধরেই এই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের।ফলে সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।সংস্কারের অভাবে সড়কের পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে।
গর্তের অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। আবার অনেক জায়গায় গাড়ি চলার সময় আশপাশ ধুলাময় কোথাও কাদাময় হয়ে যাচ্ছে।রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো এভাবেই তলিয়ে থাকে বৃষ্টির পানিতে। দোহাজারী সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন এই সড়কে

কাফকো সেন্টার মহালখাঁন বাজারে থেকে যেতে টানেলের সুড়ঙ্গ ব্রিজের রাস্তার দুপাশে এবং দক্ষিণ বন্দর কান্তির হাট বাজারে দক্ষিণে বিশাল গর্ত,কবিরার দোকানের মোড়ের আগে গর্ত হয়ে গাড়ি আটকে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়।বছর আগে এই সড়কের রিফাইনারি করলেও ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে গর্ত হয়ে হাটুপানিতে পরিনত হয় এবং শুকনো মৌসুমে গর্তের মতো হয়ে ঝুকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হয়।

সরেজমিনে গেলে এলাকার কয়েকজন বলেন, এই মোহছেন আউলিয়া সড়ক দিয়ে জুঁইদন্ডি, রায়পুর,বারশত এবং বটতলী রুস্তমহাটের যাতায়াত হয়,এতে করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা পিএবি লাইনের বাস, রোগীর অ্যাম্বুলেন্স সহ চলাফেরা করতে গিয়ে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। এবং সন্ধ্যা নামলে কেপিজেড শ্রমিকরা এই সড়ক দিয়ে যাওয়া-আসা করে।এখন সড়কে বিপজ্জনক অবস্থা।

এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করেন কেইপিজেড গার্মেন্টসের কয়েক হাজার শ্রমিক।বটতলী শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষিকাগণ। সড়কের আগে পরে রয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় এবং আরেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হেটে চলাচলের একেবারে অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ে যাওয়া এক শিক্ষার্থী ক্ষোভের কণ্ঠে দেনিক সকালের সময়কে বলেন,স্কুলে আসতে বাসা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বের হলে পানির কারণে কাপড় নোংরা হয়ে যায়।এই হাটুপানি পার হওয়া এবং গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে গাড়ির ছিটকে পানি গায়ে পড়ার কারণে। রাস্তা খুবই গর্তে পরিনত হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই বাধ্য হয়ে চলাচল করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব দ্রুত রাস্তাটির সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়ার।

গাড়িচালক টিপু সকালের সময়কে বলেন, যাত্রীদের গালমন্দ আর গাড়ির ক্ষতি মেনে ওই পথ দিয়েই গাড়ি চালাই। তবে মাস ছয় ধরে এতটা খারাপ হয়েছে,ওই পথে আর পরিবহণের গাড়ি চলা খুবই কষ্টকর।

এ বিষয়ে জানতে দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আনোয়ারা উপজেলা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মুমিন বলেন, জনসাধারণের দূর্ভোগের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবহিত করেছি।

Related posts