নিজস্ব প্রতিনিধি
সারা আনোয়ারা।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার টংজালের জায়গা দখল নিয়ে আনোয়ারা ও বাঁশখালীর জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে আনোয়ারার উপকূলীয় অঞ্চল রায়পুর ইউনিয়নের জেলেরা সাগরে তাদের খুটির অবস্থান দেখতে যান।এসময় রায়পুর ইউনিয়নের জেলেরা নিজেদের মাছ ধরার জায়গা ও টংজালের অস্তিত্ব দেখতে গেলে বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরাসুল এলাকার মৎস্য সমিতির সভাপতি তারেক হোসেনের মাঝিরা তাদের জায়গা দাবি করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এতে রায়পুর ইউনিয়নের বোট মালিক হারুনের ৪ জেলে আহত হয়।এবং অন্য দুটি বোটের ০৮ জন মাঝিকে বোটসহ বাঁশখালী জেলে ধরে নিয়ে যায় বাঁশখালীর জেলেরা।
পরে বাঁশখালীর ০৫ জন জেলেদের আনোয়ারার জায়গায় খুটি কাটতে এসে দেখতে পেলে তাদেরকে আনোয়ারার জেলেরা ধরে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় ধরালো অস্ত্র জব্দ করে চেয়ারম্যানের হেফাজতে দেওয়া হয়।
পরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ও বাঁশখালী উপজেলার কদম রসূল মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি তারেক হোসেনের নেতৃত্বে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের সমন্বয়নে ৩০০ টাকা দলিলে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম জানান,বাঁশখালী ও আনোয়ারার জেলেদের যার যার সীমানা বা খুটিতে জাল বসানোর সিদ্ধান্ত হয়,কারো খুটিতে অন্য কারো জাল বসানো যাবেনা। এবং মাছ শিকারে যাওয়ার সময় কোন অবৈধ অস্ত্র বহন করতে পারবেনা বলে সিদ্ধান্ত হয়।যারা এর বিরোধিতা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।পরে নিজ বোট মালিকের কাছে আটককৃত জেলেদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।